`

সন্তানকে লম্বা করতে চান, জেনে নিন কী করবেন?

ছেলে মেয়ে খেলা ধুলোর মধ্যে থাকে তাহলে ১৮ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ার সুযোগ থাকে 
  • Views: 1234
  • Share:
জুলাই ১৫, ২০২১ ২১:১৬ Asia/Dhaka

জালালাবাদ ডেস্ক:: পারফেক্ট হাইট পেতে কে আর না চায়! কিন্তু এর জন্য করতে লাগবে কসরত। যাঁদের জিনেই লম্বা হওয়ার রসদ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা বিষয়। কিন্তু যাঁদের তাতে খামতি রয়েছে, তাঁদের খাটতে হবে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্কিপিং, দৌড় ঝাঁপ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তখনই সন্তানের উচ্চতা নিয়ে ভাবতে বসেন বাবা মায়েরা। 

মনে রাখবেন, উচ্চতার জন্য প্রয়োজন পুষ্টি, ব্যায়াম।  ১৮ বছর বয়সের পর আর সাধারনত লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে না। উচ্চতার উপর হরমোনের প্রভাব রয়েছে। হরমোন জনিত কারণেই অনেকের হাইট কম বেশি হয়। ১৬ বছরের পর মেয়েদের উচ্চতা তেমন ভাবে বাড়েনা। কিন্তু যদি খেলা ধুলোর মধ্যে থাকেন, তাহলে ১৮ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ার সুযোগ থাকে। 

     * শিরদাঁড়াতে চোট থাকলে উচ্চতা বাড়তে ব্যহত হয়। 
     * পেশির গঠনের ওপর নির্ভর করে  উচ্চতা। শরীরে অপুষ্টি থাকলে উচ্চতা বাড়ে না।  
     * যাঁদের উচ্চতা প্রথম থেকেই কম, ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই লম্বা হওয়ার যাবতীয় কৌশল প্রয়োগ করে ফেলতে হবে। রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসুন জীবনযাত্রা।
     * ১৮ বছরের পরও ডায়েট চার্টে রাখুন  ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, প্রোটিনে ভরা খাবার।  
     * নিয়মিত খেলাধূলা শরীর চর্চা করুন। অ্যারোবিক ডান্সের অভ্যাস করতে পারলে খুবই ভালো। 
     * পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। হরমোনের সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখিয়ে নিন। 
     * প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কারও কাছে শিখে রোজ যোগা করুন। নিয়মিত যোগাভ্যাস উচ্চতা বাড়বে। মেয়েদের বা ছেলেদের বয়স যখন ১৪ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে, তখন থেকেই শুরু করে দিন এই রুটিন। 

এছাড়াও আপনার সন্তানকে জাঙ্ক ফুড এবং কোমল পানীয় থেকে দূরে রাখুন। মাঝে মাঝে অল্প খেলে সমস্যা নেই; কিন্তু কোনোভাবেই যেন প্রতিদিন এসব না খায়।

জিঙ্ক আপনার সন্তানের বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সুতরাং, চিনাবাদাম এবং স্কোয়াশ বীজের মতো দস্তা-সমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করবে না তবে তাকে ভেতর থেকে আরও শক্তিশালী করবে।

শরীরচর্চা:
অল্প বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে কিছু সাধারণ শরীরচর্চা শেখানো উচিত। এটি তার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে। প্রসারিত মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে এবং আপনার সন্তানের শারীরিক গঠন উন্নত করতে সহায়তা করে।

হ্যাংগিং:
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য হ্যাংগিং কয়েক দশক ধরে পরিচিত এক উপায়। এটি মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করে যা লম্বা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত হ্যাংগিং ছাড়াও আপনি আপনার সন্তানকে পুলআপ এবং চিনআপস করতেও বলতে পারেন। এ দুটি শরীরচর্চাই পিঠ এবং বাহুর পেশি শক্তিশালী করে তোলে।

স্কিপিং:
স্কিপিং বা দড়ির লাফ একটি মজাদার শরীরচর্চা যা শিশুদের কাছে আরও বেশি খেলার মতো অনুভূত হয়, এটি হৃদপিণ্ডসহ পুরো দেহে কাজ করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি আশ্চর্যজনক কার্ডিও ওয়ার্কআউট, যা আপনার সন্তানকে সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।

সাঁতার:
সাঁতার আরেকটি স্বাস্থ্যকর এবং মজার শরীরচর্চা যা আপনার সন্তানের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি একটি পুরো শরীরের ব্যায়াম যা শরীরের সব পেশিতে কাজ করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

ভালো ঘুম:
রাতে একটি ভালো ঘুম কেবল বড়দের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তানকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার জন্য প্রতি রাতে তার অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: জি-নিউজ

user
user
Ad
Ad