`

আলতাফ সাহেবের হাঁটা এবং অজানা রহস্য!

  • Views: 570
  • Share:
নভেম্বার ৭, ২০২৩ ২২:৫৭ Asia/Dhaka

আহনাফ যাহিন:: আলতাফ সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। আজই নতুন বাসায় উঠেছেন। কাজের সুবাদে নতুন বাসায় ওঠা। উনার ডায়াবেটিকস আছে। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিয়ম করে  হাঁটতে বের হন। আজও তাই করেছেন। এই এলাকায় প্রথম হাঁটা। কিন্তু রাস্তায় কেউ নেই। তিনি বড় অবাক হলেন। মাত্র সন্ধ্যা হল, অথচ কেউ নেই কেন? রাস্তাটা বেশ ভূতুড়ে লাগছে! মানুষজন কেউ নেই । স্ট্রিট  লাইট জ্বলছে, আবছা আবছা ভাবে।

তিনি হাঁটতে হাঁটতে অন্য রাস্তায় চলে এলেন।এ রাস্তায় কোন স্ট্রিট  লাইট নেই। রাস্তার পাশের বাসার লাইট গুলো থেকে আবছা অস্পষ্ট আলো রাস্তায় আসছে। তিনি  হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার শেষ মাথায় চলে এলেন। এবার ফিরে যাওয়ার পালা। ফিরতে গিয়ে হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, সামনে পা বাড়াতে পারছেন না! তিনি আতঙ্কিত বোধ করলেন। কে যেন তার পা আটকে রেখেছে। অথচ রাস্তায় কেউ নেই! তিনি জোরে চিৎকার করতে চাইলেন। কিন্তু চিৎকার দিতে পারছেন না। শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে একটা চিৎকার দেন।

এরপর কি ঘটে তা উনার  মনে নেই। সকাল দশটার দিকে তার জ্ঞান ফিরলো। তিনি দেখেন এক অচেনা জায়গায় অচেনা মানুষজন তার কাছে। সবার চোখে বিস্ময় আর কৌতূহল! আলতাফ সাহেব প্রশ্ন করেন সেই রাতে কি হয়েছিল? একজন বয়স্ক মানুষ বলেন সকালে দেখি তুমি রাস্তায়  পড়ে আছ। আমি লোকজন ডেকে তোমাকে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করি।

আসলে আমরা কেউ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া  সন্ধ্যার পর বের হইনা। এই প্রথা পাকিস্তান আমলে থেকে যা ছোট বেলায় বড়দের মুখে শুনতাম। এখানে নাকি ব্রিটিশরা নিরীহ মানুষকে মেরেছিল। তাদের আত্মা এখনো ঘুরে বেড়ায়। ভাগ্যিস আপনি বেঁচে গেলেন। এ কথা শোনার পর আলতাফ সাহেব তৎক্ষণাৎ বাসা পরিবর্তন করেন।

আহনাফ যাহিন, পঞ্চম শ্রেণি,ব্লুবার্ড স্কুল এন্ড কলেজ। 

user
user
Ad
Ad