`

প্রথম প্রসব বলে দেয় অনেক কিছু

  • Views: 2315
  • Share:
নভেম্বার ৫, ২০২২ ২১:৪৬ Asia/Dhaka

স্বাস্থ্য ডেস্ক :: মা হওয়ার সেরা সময় কখন? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন, একজন নারী যে সময় মনে করেন, তিনি মা হবার জন্য প্রস্তুত, সেটিই তাঁর জন্য সেরা সময়। এই যেমন ৪৩–এ মা হতে চলেছেন বলিউড তারকা বিপাশা বসু। যদিও চিকিৎসকদের মতে এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মা হবার সেরা সময়:-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ও এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ডা. মুবাশ্বীর হাসান জানান, ২০ থেকে ২৪—এই পাঁচ বছর মা হওয়ার সেরা সময়। ২০ বছর বয়সের আগে অনেক সময় নারীর গর্ভধারণের সঙ্গে জড়িত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হয় না। ২৫ থেকে ২৯ বছরের ভেতর মা হওয়াও নিরাপদ। তবে ৩০ বছর বয়সের আগে যদি আপনি প্রথমবার মা না হন, তবে এর পর থেকে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ৩০ পেরিয়ে গেলে প্রজননক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যায়। তবে ৩০ বছর বয়সের ভেতরে একটি সন্তান জন্ম দিলে পরবর্তী সময়ে মা হওয়ার ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কমে যায়। বয়স ৩৫ অতিক্রম করলে এই হার কমে যায় আরও ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের ভেতর স্বাভাবিকভাবে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার হার মাত্র ২০ ভাগ। ৪০ বছর বয়সের পর এই হার মাত্র ৫ শতাংশ। দুই সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন বছর ব্যবধান রাখা উচিত। এই বিরতি মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জরুরি।

প্রথম প্রসবের অভিজ্ঞতা:-
১. প্রথম প্রসব থেকে পরবর্তী প্রসব সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। এই যেমন, যদি আপনার প্রথম প্রসব স্বাভাবিকভাবে হয়, তাহলে দ্বিতীয় প্রসব স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। প্রথমবার যদি সি সেকশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে আর স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।

 ২. ৩৭ থেকে ৪২ সপ্তাহের ভেতর শিশুর জন্ম হওয়া স্বাভাবিক। প্রথমবার যদি আপনার সন্তান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নেয়, তাহলে পরেরবারও প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রথমবার প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম দিয়ে পরের বার ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থা চালিয়ে নিয়েছেন।

 ৩. প্রথমবার গর্ভাবস্থায় কোনো ঝুঁকি থাকলে, যেমন গর্ভপাত হয়ে গেলে, দ্বিতীয় গর্ভধারণে অনেক বেশি সচেতন হওয়া, শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে থাকার কোনো বিকল্প নেই।

যে কাজগুলো একেবারেই করবেন না:-
১. গর্ভাবস্থায় ধূমপান ও মদ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। এগুলো অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়ায়।

২. শিশুর ওজন আড়াই কেজির কম হলে সে কম ওজনের শিশু। গর্ভাবস্থায় আপনার কম ওজন বা বেশি ওজন, দুটিই ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় বাংলাদেশের নারীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপদেশ হলো, দ্বিগুণ খেতে হবে। কিন্তু বেশি ওজনও স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়লে সেটি গর্ভাবস্থার জন্য স্বাভাবিক।

৩. কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। এটা শুধু গর্ভবস্থায় নয়, যত দিন বাচ্চা বুকের দুধ পান করছে, তত দিন প্রযোজ্য। একান্ত প্রয়োজন হলে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে তাঁর নির্দেশমতো কম মাত্রার ওষুধ খেতে পারেন। 

user
user
Ad
Ad