`

আমাদের নাগরিক অধিকারসমূহ 

  • Views: 1034
  • Share:
জুলাই ৩০, ২০২১ ০৩:০১ Asia/Dhaka

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম:: এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের দেশ পেয়েছি। লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ আর লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এ ভূখণ্ড। এ পতাকা। আমরা তাঁদের ঋণের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমরা এ দেশে বাস করি। স্বাধীনভাবে। কেউ আমাদের চলাফেরায় বাধা দিতে পারেন না। কারণ এটি আমাদের অধিকার। হ্যাঁ। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো নাগরিক অধিকার। প্রথমেই প্রশ্ন আসে - অধিকার কাকে বলে।

অধ্যাপক লাস্কী'র মতে, "অধিকার সমাজ জীবনের সে সব অবস্থা যা ব্যতীত মানুষ তাঁর ব্যক্তিত্বকে পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পারেন না।" 

টি.এইচ.গ্রীন বলেন, "অধিকার হলো সে সব বাহ্যিক অবস্থা যা মানুষের মানবিক উন্নতি সাধন করে।" উল্লেখ্য, এই অধিকার সমাজ বহির্ভূত বা সমাজ নিরপেক্ষ নয়। এটি সমাজভিত্তিক। সমাজ বা রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে আমরা এই অধিকার ভোগ করে থাকি।  রাষ্ট্রের নাগরিকগণ কী মাত্রায় তাঁদের অধিকারসূমহ ভোগ করে থাকেন-- এর উপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র মূল্যায়িত হয়।

অধিকারকে সাধারণভাবে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - ১. নৈতিক অধিকার এবং ২.আইনগত অধিকার। যেসব অধিকার মানুষের ন্যায়বোধ থেকে তৈরি হয় সেগুলো হচ্ছে নৈতিক অধিকার। যেমন, ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া। নৈতিক অধিকার খর্ব করলে কাউকে শাস্তি দেয়া যায়না।

অন্যদিকে, যেসব অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক সৃষ্ট ও অনুমোদিত সেগুলো হচ্ছে আইনগত অধিকার। যেমন, রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা ও নিয়মিত কর দেয়া ইত্যাদি। আইনগত অধিকার খর্ব করলে রাষ্ট্র নাগরিককে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করতে পারে। আইনগত অধিকারকে আবার দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন - ১. সামাজিক অধিকার এবং ২. রাজনৈতিক অধিকার। যে অধিকার ছাড়া একজন লোক সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন না সে অধিকারকে সাধারণভাবে সামাজিক অধিকার বলে। যেমন, জীবনের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার ইত্যাদি। অপরদিকে, রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার যে অধিকার সেটি হলো রাজনৈতিক অধিকার। যেমন - ভোট দেয়ার অধিকার এবং নির্বাচনে প্রার্থী হবার অধিকার ইত্যাদি। 

বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এদেশ আমার, আপনার এবং আমাদের সকলের। আমাদের দেশে, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী আমরা কি কি অধিকার ভোগ করি তা বিবৃত করাই আজকের আলোচনার বিষয়। যা অবশ্য পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, সংবিধান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সমষ্টি। এবং একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন।  যাতে সরকার এবং নাগরিকের অধিকার - কর্তব্যসহ রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় বিষয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের সংবিধানেও আমাদের অধিকার ও কর্তব্যসূমহ সুস্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।" সুতরাং আমাদের একটি বড় পাওয়া হচ্ছে যে "আমরা, নাগরিকগণ" এদেশের মালিক। আমাদের পক্ষে সরকার এদেশটি পরিচালনা করেন। বিবৃত সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।" বর্ণিত অনুচ্ছেদটিতে আমাদের সবার মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এবং সব নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে জনগণের মালিকানার নীতির কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বন্টনপ্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হইবেন জনগণ এবং এই উদ্দেশ্যে মালিকানা ব্যবস্থা নিম্নরূপ হইবে : ক) রাষ্ট্রীয়মালিকানা, অর্থাৎ অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান প্রধান ক্ষেত্র লইয়া সুষ্ঠু ও গতীশীল রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি খাত সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের মালিকানা; 
খ) সমবায়ী মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে সমবায়সমূহের সদস্যদের পক্ষে সমবায়সমূহের মালিকানা; এবং 
গ) ব্যক্তিগত মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যক্তির মালিকানা।"
এখানেও আমরা লক্ষ্য করি যে, জনগণকে বা নাগরিকগণকেই মালিকানার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যা আমরা সবসময় আশা করি। এবং এ অনুচ্ছেদের অনুভূতি আমাদের নাগরিক জীবনকে পূর্ণতা দেয়। 

বর্ণিত সংবিধানের ১৪নম্বর অনুচ্ছেদে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষ এবং অনগ্রসর জনগণকে সব ধরনের শোষণ থেকে মুক্তিদানের কথা বলা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্যে বিরাট অর্জন। কারণ এদেশের মালিকই হচ্ছেন কৃষক-শ্রমিক তথা আপামর জনসাধারণ। এবং এখানে তাঁদের উন্নতির কথাই বলা হয়েছে। এ সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, সেখানে জনগণের জীবনমান উন্নত করার জন্যে রাষ্ট্রকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নাগরিকদের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। নাগরিকদের কর্মের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাঁদের উপযুক্ত মজুরির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের উপযুক্ত বিশ্রাম, বিনোদন এবং অবকাশের অধিকার দেয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কারণে অসহায় মানুষকে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার দেয়া হয়েছে। একই সাথে পিতৃ-মাতৃহীন ব্যক্তি, বিধবা এবং বার্ধক্য জনিত কারণে অসহায় নাগরিকদের সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং বিবৃত সাহায্যগুলো পাওয়া আমাদের অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এবং এগুলো যথাসম্ভব প্রদান করা রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে শহর আর গ্রামের মধ্যে সুবিধাগত পার্থক্য দূর করার কথা বলা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রদান, রাস্তাঘাটের উন্নতি এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে রাষ্ট্রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।

নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এটিও আমাদের জন্যে একটি বড় অর্জন। কারণ শিক্ষা যদি না থাকে তাহলে জাতি অন্ধ হয়ে যাবে। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি আমাদের জন্যে অর্থাৎ নাগরিকদের জন্যে খুবই কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। এবং এর ফলও আমারা পাচ্ছি। আমাদের সংবিধানের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যকে উন্নত করার উপর জোর দেয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি হয় এমন দ্রব্য, পানীয় এবং মাদককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গণিকাবৃত্তি ও জুয়া খেলা নিরোধের জন্যে রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের আলোকে সরকার প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য ক্ষতিকর বিষয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে আমরা উপকৃত হচ্ছি। এ সংবিধানের ১৮ ক নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবেশকে সুন্দর এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে উপভোগ্য রাখতে রাষ্ট্রকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এটিও আমাদের নাগরিক জীবনের জন্যে বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। বর্ণিত সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সব নাগরিককে সুযোগের সমতা দেয়া হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সব নাগরিককে সমান সুযোগ প্রদান করতে এ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রকে নির্দেশনা দিচ্ছে। ফলে নাগরিকগণ সব ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাচ্ছেন। এতে নাগরিকজীবন উপভোগ্য হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের সংবিধানের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো যে, সেখানে বলা হয়েছে - কর্ম হচ্ছে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়। তাই যোগ্যতানুযায়ী যেকোনো কাজই সম্মানের বিষয়। এতে সব কর্মজীবীই সম্মানিত ব্যক্তি। এবং সবাই কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক লাভ করেন। 

বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। বিশেষ করে নাগরিকদের জন্যে। কারণ এখানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এ অধ্যায়ের উপর নির্ভর করেই নাগরিকগণ তাঁদের অধিকার সমূহ ভোগ করেন ও ক্ষেত্রমতো দাবিও করে থাকেন। এ সংবিধানের ২৬ থেকে ৪৭ অনুচ্ছেদে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের বিবরণ দেয়া হয়েছে। ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র এই ভাগের অর্থাৎ তৃতীয় ভাগের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারবেন না। যদি করেন তবে যতটুকু অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততটুকু বাতিল হবে। [ উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে।]

আমাদের সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।" প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে আইনের দৃষ্টিতে ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ সমান। এবং সব নাগরিকই আইনের কাছে সমানভাবে আশ্রয় নেয়ার অধিকারী। আইনের দৃষ্টিতে কোনো ভেদাভেদ নেই। সব মানুষই আইনের কাছে বা আদালতের কাছে তাঁদের অভিযোগ পেশ করতে পারেন। এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এটি নাগরিকদের জন্যে, তাঁদের ব্যক্তিত্ব বিকশিত হবার জন্যে এবং সর্বোপরি নাগরিক জীবনকে উপভোগ্য করার জন্যে প্রয়োজনীয় একটি অনুচ্ছেদ। আমরা অধিকার হিসেবে আইনের আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারি। 

এ সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী এবং জন্মস্থানের কারণে রাষ্ট্র কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করতে পারবেন না। সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবেন। এছাড়া ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কাউকে কোনো অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা বা শর্তের অধীনে আনা যাবে না। এছাড়া নারী, শিশু এবং নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্যে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে এই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবেনা। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, পুরো বিষয়টিই আমাদের অনুকূলে। অর্থাৎ নাগরিকদের পক্ষে। সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্যে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে। নারী-পুরুষ, ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, জন্মস্থান নির্বিশেষে সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের জন্যে যোগ্য হবেন। এবং এক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আরো উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো যে, নাগরিকদের অনগ্রসর অংশকে অগ্রসর করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র যদি কোনো পদ সংরক্ষণ করতে চায় তাহলে সংবিধান তাকে বাধা দিবে না। এখানেও নাগরিকগণ উপকৃত হচ্ছেন। কারণ আমাদের দেশে যাঁরা অনগ্রসর আছেন, তাঁরা এর ফল পাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবেন। তাহলে আমরা আবারও দেখতে পাই যে, রাষ্ট্র নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সমানভাবে দেখেন এবং সবাইকে সমান সুযোগ প্রদান করেন।

আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারটি আমাদের সংবিধানের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদে আবারো বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক নাগরিক যেকোনো স্থানে অবস্থানরত অবস্থায় আইনের আশ্রয় লাভ করতে পারবেন। এটি নাগরিকদের অন্যতম অধিকার। সাথে সাথে যাঁরা সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাঁরাও আইনের আশ্রয় লাভ কর‍তে পারবেন। এ অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে যে, বেআইনিভাবে কোনো নাগরিকের জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটানো যাবে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম এবং সম্পত্তির অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এই সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের বক্তব্য হলো নাগরিকের জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা করা। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "আইন অনুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।" অনুচ্ছেদটি নাগরিকদের জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিস্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে। কেউ অন্যায়ভাবে কারো জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। তাই জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সংবিধানের ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদটি গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ হিসেবে পরিচিত। এর মর্মানুযায়ী বলা যায় যে, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার আগে তাঁকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আইনজীবী নিয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাঁকে তাঁর মনোনীত আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ( গ্রেপ্তারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির কর‍তে হবে। এবং উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আটক রাখা যাবে না। বিষয়টি আমাদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নাগরিক জীবনে এটি খুব ভালো প্রভাব ফেলছে। এই অনুচ্ছেদের কারণেই নাগরিকগণ অযথা গ্রেপ্তারের হয়রানি থেকে মুক্ত থাকেন। এবং গ্রেপ্তার হলেও তিনি আইনজীবী নিয়োগের অধিকার পান। একই সাথে তিনি নিয়োগকৃত আইনজীবীর কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের অধিকার ভোগ করতে পারেন। সত্যিই, আমাদের সংবিধানে বর্ণিত এ অনুচ্ছেদটি নাগরিক জীবনে পূর্ণতা এনে দিয়েছে।

এ সংবিধানের ৩৪ নম্বর অনুচ্ছেদে জবরদস্তিমূলক শ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ কাউকে জোর করে কাজে নিয়োগ করা যাবে না। বা কাউকে অন্যায়ভাবে, কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। এমনটি করলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিবৃত বিষয়টি এভাবে উপস্থাপন করা যায়। বিষয়টি হলো যে, কোনো ব্যক্তির কারখানা আছে, বা টাকা আছে বলেই, তিনি কোনো লোককে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে কাজে লাগাতে পারবেন না। কারণ কাজ করার বিষয়টি  উক্ত লোকের ব্যক্তিগত বিষয় বা অধিকার। এবং ইচ্ছে হলে তিনি কাজ করবেন। আর ইচ্ছে না হলে, কাজ করবেন না। কিন্তু কেউ জোরপূর্বক তাঁকে কাজে বাধ্য করতে পারবেন না। এ অনুচ্ছেদটি আমাদের নাগরিক অধিকারকে অনেক শক্ত করেছে। যা নাগরিকের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা করছে। সংবিধানের ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদটি নাগরিক স্বাধীনতার জন্যে আরো প্রয়োজনীয়। সেখানে বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যখন অপরাধ করেন তখন যে আইন বলবৎ ছিল সেই আইনে বর্ণিত শাস্তি ব্যতীত ভিন্ন কোনো দণ্ড তাঁকে দেয়া যাবে না। এতে আরো বলা হয়েছে যে, একজনকে এক অপরাধের জন্যে দু'বার দণ্ড দেয়া যাবে না।

প্রত্যেক ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলে তিনি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে দ্রুত এবং প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী। কোনো ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। এ অনুচ্ছেদটি আমাদের আরো নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, কোনো নাগরিককে যন্ত্রণা দেয়া যাবে না। কারো প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। কাউকে অমানুষিক বা লাঞ্চনাকর দণ্ড দেয়া যাবে না। নাগরিক স্বাধীনতার জন্যে এ অনুচ্ছেদটি খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ এটি ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে বিচার পাবার অধিকার দিয়েছে। এবং  প্রকাশ্যে বিচার লাভের ক্ষেত্রেও বর্ণিত অনুচ্ছেদটি নাগরিকদের পক্ষে বিরাট ভূমিকা রেখে চলছে। বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা করা আমাদের আরো একটি উল্লেখযোগ্য অধিকার।  এটি বর্ণিত হয়েছে সংবিধানের ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে। এ অনুচ্ছেদের বক্তব্য অনুযায়ী একজন নাগরিক বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা করতে পারেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্যে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে বসতি স্থাপন কর‍তে পারেন। তিনি বিদেশে যেতে পারেন। আবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেও আসতে পারেন। অর্থাৎ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার, একজন নাগরিকের জন্যে একটি সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করাও আমাদের একটি সাংবিধানিক অধিকার। বিষয়টি সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। বিবৃত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় নাগরিকগণ সমবেত হতে পারেন। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেন। এ সংবিধানের পরের অনুচ্ছেদে অর্থাৎ ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদে আইনি বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সমিতি বা সংঘ গঠনের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এজন্যেই প্রত্যেক নাগরিক আইন অনুসরণ পূর্বক সমিতি বা সংঘ তৈরি করতে পারেন। নাগরিকদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে।

প্রত্যেক নাগরিককে বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। বিষয়গুলি বিবৃত হয়েছে আমাদের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে। এ অনুচ্ছেদটি নাগরিক জীবনে পূর্ণতা দানের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। কারণ এতে বাকস্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বর্ণিত অধিকারগুলি ব্যক্তি জীবনকে মর্যাদাপূর্ণ করেছে। উপভোগ্যও করেছে। বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়ার ফলে নাগরিকগণ তাঁদের ইচ্ছেমতো মতামত প্রকাশ করতে পারেন। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। সরকারকে সুপরামর্শও দিতে পারেন। সংবাদপত্রও সঠিক সংবাদ স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে। ফলে নাগরিকগণ যেমন উপকৃত হন তেমনি সরকারও সমানভাবে উপকৃত হন। সারাদেশে সঠিক সংবাদ প্রচারিত হয়। এটি গনতন্ত্রকেও বিকশিত করে। 

এ সংবিধানের ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদ আমাদের স্বাধীনভাবে পেশা বা বৃত্তি গ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। যেকোনো নাগরিক নিজের যোগ্যতানুসারে এবং প্রয়োজনীয় আইনী বাধানিষেধ সাপেক্ষে যেকোনো পেশা বা বৃত্তি গ্রহণ করতে পারেন। যেকোনো ব্যবসা বা কারবার পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আমরা দেখতে পেলাম যে, পেশা নির্বাচন নাগরিকদের ব্যক্তিগত অধিকার। কারবার বা ব্যবসা পরিচালনা করা নাগরিকদের আইনসঙ্গত অধিকার। এবং এই অধিকারে কেউ অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। আমাদের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এটি প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অধিকারও দেয়া হয়েছে এ অনুচ্ছেদে। এ অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে যে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী ব্যক্তি তাঁর নিজস্ব ধর্ম না হলে তাঁকে অন্য ধর্ম শিখতে বা পালন করতে হবে না। অর্থাৎ ধর্ম পালনে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। ধর্ম তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি যেকোনো ধর্ম পালন করতে পারবেন। এবং এতে বাধা দেয়া যাবেনা।

সম্পত্তির অধিকারের বিবরণ দেয়া আছে আমাদের সংবিধানে। এ সংবিধানের ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিক বৈধভাবে সম্পত্তি অর্জন করতে পারেন। ধারণ করতে পারেন। এবং হস্তান্তর ও অন্যভাবে বিলি-ব্যবস্থা করতে পারেন। এই সম্পত্তিতে আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। বিষয়টি নাগরিক জীবনকে পরিপূর্ণ করেছে। কারণ প্রত্যেক নাগরিকই সম্পত্তি অর্জন করতে চান। সম্পত্তিটি ধারণ করতে চান। এবং চান ইচ্ছেমতো ব্যবহার কর‍তে। এ অনুচ্ছেদটি আমাদের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ব্যক্তিস্বাধীনতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তোলে ধরা হয়েছে। সেটি হলো নিজ গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার। এবং চিঠিপত্র ও অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার। আইনগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিক নিজ গৃহে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন। কেউ বেআইনিভাবে কোনো নাগরিকের গৃহে প্রবেশ বা তল্লাশী কর‍তে পারবেন না। বিবৃত অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব উপায়ে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার দেয়া হয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিঠিপত্র বা পারষ্পরিক যোগাযোগ নাগরিকদের গোপনীয় বিষয়। এই গোপনীয়তা প্রকাশ না পাওয়াটাই উচিৎ। তাই এ সংবিধান গোপনীয়তার বিষয়টিকে অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে একজন অন্যায়ভাবে আরেকজনের চিঠি পড়তে পারেন না। এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমেও অন্যায় হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকেন। এ অনুচ্ছেদটিও নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্যে অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। 

নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকশিত করার জন্যে, নাগরিক জীবন উপভোগ্য করার জন্যে এবং নাগরিক জীবনকে পরিপূর্ণ করার জন্যে যেসব অধিকার প্রদান করা  সমীচীন তার সবই দেয়া হয়েছে আমাদের সংবিধানে। প্রকৃতপক্ষে বিবৃত অধিকারসমূহ আমাদের নাগরিক জীবনকে সত্যিই উপভোগ্য করছে। এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্যেও এটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে যাচ্ছে। এ সংবিধান আমাদের অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। সাথে সাথে অধিকারসমূহ বা তাদের যেকোনো একটি লংঘিত হলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থাও করেছে। উল্লিখিত সংবিধানের ৪৪(১) অনুচ্ছেদে এর বিবরণ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে, সেই অধিকার বলবৎ করার জন্যে বা প্রতিকারের জন্যে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কাছে মামলা দায়ের করতে পারবেন। অর্থাৎ মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্যে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা যাবে। এবং এ বিভাগ উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বর্ণিত অনুচ্ছেদটি আমাদের নাগরিক সমাজকে অধিকারসমূহ ভোগের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করছে। ফলে নাগরিকগণ নির্ভয়ে এবং নির্বিঘ্নে তাঁদের অধিকারসমূহ ভোগ করে যাচ্ছেন। 

নাগরিক জীবনে অধিকার ও কর্তব্য একটি আরেকটির পরিপূরক। তাই সুনাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেককেই নাগরিক দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছে তাঁদের অধিকারসমূহ দাবী কর‍তে পারেন। বর্ণিত অধিকার গুলো আমাদের নাগরিক জীবনকে উপভোগ্য করেছে। 
.
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম 
প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ 
মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রী কলেজ 
মাধবপুর, হবিগঞ্জ।  

user
user
Ad